WBBSE class 10 physical science current electricity notes. |
"আজ আমরা WBBSE দশম শ্রেণীর ভৌত বিজ্ঞানের চলতড়িৎ (ষষ্ঠ অধ্যায়) সম্পর্কে আলোচনা করব। আশা করি মাধ্যমিকের সকল ছাত্র ছাত্রীদের খুবই কাজে আসবে।"
এবার পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণীর ভৌত বিজ্ঞান পরীক্ষায় এই topic টি পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট ।
''Today we will discuss WBBSE class 10 physical science 6th chapter Current Electricity. I hope all the secondary students will be very useful.``
This time this topic is very important for WBBSE 10th class physics exam.
দশম শ্রেণীর ভৌতবিজ্ঞান চলতড়িৎ নোটস | Download |
Q. কুলম্বের সূত্রটি লেখ।
⇒ কুলম্বের সূত্র: দুটি স্থির বিন্দু আধানের মধ্যে ক্রিয়াশীল তড়িৎ বল (আকর্ষণ বা বিকর্ষণ) আধান দুটির গুণফলের সমানুপাতিক এবং ওদের মধ্যবর্তী দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতিক । এই বল আধান দুটির সংযোগকারী সরলরেখা বরাবর ক্রিয়া করে এবং এই বলের মান আধান দুটির মধ্যবর্তী মাধ্যমে প্রকৃতির উপর নির্ভর করে।
মনে করি দুটি বিন্দু আধান `q_1` এবং `q_2` পরস্পর থেকে r দূরত্বে অবস্থিত। আধান দুটির মধ্যে ক্রিয়াশীল বল F হলে, কুলম্বের সূত্র অনুসারে---
`F` ∝ `q_1q_2` [যখন r ধ্রুবক] এবং
`F` ∝ `frac{1}{r^2}` [যখন `q_1`, `q_2` ধ্রুবক হয়]
ஃ`F` ∝ `frac{q_1q_2}{r^2}` [যখন `q_1`, `q_2` ও r পরিবর্তনশীল]
`F` = `K frac{q_1q_2}{r^2}`
যেখানে `K` হল সমানুপাতিক ধ্রুবক। একে স্থির তড়িৎ বল ধ্রুবক বা কুলম্ব ধ্রুবক বলে।
Q. স্থির তড়িৎ ধ্রুবক বা কুলম্ব ধ্রুবকের মান কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে ?
⇒ স্থির তড়িৎ ধ্রুবক বা কুলম্ব ধ্রুবক (1) আধান দুটি যে মাধ্যমে অবস্থিত তার প্রকৃতি এবং (2) ব্যবহৃত একক পদ্ধতির উপর নির্ভর করে।
Q. কুলম্বের সূত্রটি কোন্ কোন্ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ?
⇒ কুলম্বের সূত্রটি কেবল মাত্র (1) বিন্দু আধানের ক্ষেত্রে ও (2) স্থির তড়িৎ আধানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
Q. CGS পদ্ধতি এবং SI-তে আধানের এককগুলি কী কী ? এদের সংজ্ঞা দাও। এদের মধ্যে সম্পর্ক কি ?
⇒ CGS পদ্ধতি এবং SI-তে আধানের এককগুলি যথাক্রমে `esu` বা স্ট্যাটকুলম্ব এবং কুলম্ব (`C`)।
◼ 1 স্ট্যাটকুলম্ব আধান: দুটি সমপ্রকৃতির এবং সমপরিমাণ বিন্দু আধান শূন্য মাধ্যমে বা বায়ু মাধ্যমে পরস্পর থেকে 1 cm দূরে থাকলে যদি পরস্পরের ওপর 1 dyn বিকর্ষণ বল প্রয়োগ করে, তবে প্রতিটি বিন্দু আধানকে 1 স্ট্যাট কুলম্ব আধান বলে।
1 কুলম্ব আধান: দুটি সমপ্রকৃতির এবং সমপরিমাণ বিন্দু আধান শূন্য মাধ্যমে বা বায়ু মাধ্যমে পরস্পর থেকে 1 m দূরে থাকলে যদি পরস্পরের ওপর `9 x 10^9` N বিকর্ষণ বল প্রয়োগ করে, তবে প্রতিটি বিন্দু আধানকে 1 কুলম্ব (`1 C`) আধান বলে।
◼ `1 C = 3 times 10^9` স্ট্যাটকুলম্ব।
Q. তড়িৎ বিভব বলতে কী বোঝো ? তড়িৎ বিভবের CGS ও SI এককের সংজ্ঞা দাও। এদের মধ্যে সম্পর্কটি লেখ।
⇒ তড়িৎ বিভব: অসীম দূরত্ব থেকে একটি একক ধনাত্মক আধানকে তড়িৎ ক্ষেত্রের কোন বিন্দুতে আনতে যে পরিমান কার্য করতে হয়, তাকে ওই বিন্দুর তড়িৎ বিভব বলে।
অসীম দূরত্ব থেকে `+ q` পরিমান তড়িৎ আধানকে তড়িৎ ক্ষেত্রের কোন বিন্দুতে আনতে যদি `W` পরিমান কার্য করতে হয়, তবে ওই বিন্দুর বিভব
`V = frac{W}{q}`
◼ CGS পদ্ধতি এবং SI-তে তড়িৎ বিভবের একক যথাক্রমে esu বিভব বা স্ট্যাটভোল্ট (stat V) এবং ভোল্ট ((V)।
1 স্ট্যাটভোল্ট: অসীম দূরত্ব থেকে `1 esu` ধনাত্মক আধানকে তড়িৎ ক্ষেত্রের কোন বিন্দুতে আনতে যদি `1 erg` কার্য করতে হয়, তবে ওই বিন্দুর বিভবকে 1 স্ট্যাটভোল্ট বলে।
`1 stat V` = `frac{1 erg}{1 esu}`
1 ভোল্ট: অসীম দূরত্ব থেকে 1 C ধনাত্মক আধানকে তড়িৎ ক্ষেত্রের কোন বিন্দুতে আনতে যদি 1 J কার্য করতে হয়, তবে ওই বিন্দুর বিভবকে 1 ভোল্ট বলে।
`1 V` = `frac{1 J}{1 C}`
◼ 1 স্ট্যাটভোল্ট = 300 ভোল্ট ।
Q. তড়িৎ বিভব স্কেলার না ভেক্টর রাশি ? কোনো বিন্দুর তড়িৎ বিভব 1 ভোল্ট বলতে কী বোঝ ? তড়িৎ বিভবের মাত্রা লেখ।
⇒ তড়িৎ বিভব স্কেলার রাশি।
◼ কোনো বিন্দুর তড়িৎ বিভব 1 ভোল্ট বলতে বোঝায় অসীম দূরত্ব থেকে 1 C ধনাত্মক তড়িৎ আধান কে তড়িৎ ক্ষেত্রের ঐ বিন্দুতে আনতে যদি 1 J কার্য করতে হবে।
◼ তড়িৎ বিভবের মাত্রা = `[ML^2T^-3I^-1]`
Q. বিভব প্রভেদ কী ? বিভব প্রভেদের CGS ও SI এককের সংজ্ঞা দাও।
⇒ বিভব প্রভেদ: তড়িৎ ক্ষেত্রের এক বিন্দু থেকে অপর বিন্দুতে একটি একক ধনাত্মক তড়িৎ আধান কে নিয়ে যেতে যে পরিমাণ কার্য করতে হয়, তাকে ওই দুটি বিন্দুর বিভব প্রভেদ বলে।
◼ CGS পদ্ধতি এবং SI-তে তড়িৎ বিভব প্রভেদের একক যথাক্রমে esu বিভব বা স্ট্যাটভোল্ট (stat V) এবং ভোল্ট (V)।
▰ 1 স্ট্যাটভোল্ট বিভব প্রভেদে: তড়িৎ ক্ষেত্রের এক বিন্দু থেকে অপর বিন্দুতে 1 esu ধনাত্মক তড়িৎ আধানকে নিয়ে যেতে যদি 1 erg কার্য করতে হয়, তবে ওই বিন্দু দুটির বিভব প্রভেদকে 1 স্ট্যাটভোল্ট বলে।
`1 stat V` = `frac{1 erg}{1 esu}`
▰ 1 ভোল্ট বিভব প্রভেদে: তড়িৎ ক্ষেত্রের এক বিন্দু থেকে অপর বিন্দুতে 1 C ধনাত্মক তড়িৎ আধানকে নিয়ে যেতে যদি 1 J কার্য করতে হয়, তবে ওই বিন্দু দুটির বিভব প্রভেদকে 1 ভোল্ট বলে।
`1 V` = `frac{1 J}{1 C}`
Q. স্ট্যাটভোল্ট (stat V) এবং ভোল্ট (V) এর মধ্যে একটি সম্পর্ক স্থাপন কর।
⇒ আমরা জানি যে, অসীম দূরত্ব থেকে + q পরিমান তড়িৎ আধান কে তড়িৎ ক্ষেত্রের কোন বিন্দুতে আনতে যদি W পরিমান কার্য করতে হয়, তবে ওই বিন্দুর বিভব
`V` = `frac{W}{q}`
ஃ `1 V` = `frac{1 J}{1 C}`= `frac{10^7 erg}{3\times10^9 esu}`
= `frac{1}{300}` স্ট্যাটভোল্ট
ஃ 1 স্ট্যাটভোল্ট (stat V) = 300 ভোল্ট (V)।
Q. তড়িৎ প্রবাহমাত্রা কাকে বলে ?
⇒ তড়িৎ প্রবাহমাত্রা: কোন পরিবাহীর কোন প্রস্থচ্ছেদের মধ্যে দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমান তড়িৎ আধান প্রবাহিত হয় তাকে ওই পরিবাহীর তড়িৎ প্রবাহমাত্রা বলে।
কোনো পরিবাহীর কোনো প্রস্থচ্ছেদের মধ্য দিয়ে যদি `t` সেকেন্ড সময়ে `Q` পরিমাণ আধান প্রবাহিত হয়, তবে ওই পরিবাহীর তড়িৎ প্রবাহ মাত্রা, `I = frac{Q}{t}`
Q. তড়িৎ প্রবাহমাত্রা স্কেলার না ভেক্টর রাশি ? তড়িৎ প্রবাহমাত্রার CGS ও SI একক কি ? 1 অ্যাম্পিয়ার বলতে কী বোঝ ?
⇒ তড়িৎ প্রবাহমাত্রা স্কেলার রাশি।
◼ তড়িৎ প্রবাহ মাত্রার CGS একক হল emu এবং SI ও ব্যবহারিক একক অ্যাম্পিয়ার (A)।
◼ 1 অ্যাম্পিয়ার প্রবাহ: কোন পরিবাহীর কোন প্রস্থচ্ছেদের মধ্যে দিয়ে 1 সেকেন্ডে যদি 1 C তড়িৎ আধান প্রবাহিত হয়, তবে ওই পরিবাহীর তড়িৎ প্রবাহমাত্রা কে 1 অ্যাম্পিয়ার বলে।
`1 A` = `frac{1 C}{1 s}`
WBBSE class 10 physical science Current electricity notes. |
Q. ওহমের সূত্র লিখ।
⇒ ওহমের সূত্র: তাপমাত্রা ও অন্যান্য ভৌত অবস্থা অপরিবর্তিত থাকলে কোন পরিবাহীর মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহমাত্রা ওই পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব প্রভেদের সমানুপাতিক হয়।
কোন পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভবপ্রভেদ V এবং পরিবাহীর মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহমাত্রা I হলে, ওহমের সূত্র অনুযায়ী----
`I ∝ V`
বা, `I = K V` [ যেখানে K সমানুপাতিক ধ্রুবক]
বা, `V = frac{1}{K}\times I`
বা, `V = RI` [যেখানে `frac{1}{K}`= R (ধ্রুবক)]
এই ধ্রুবক R-কে পরিবাহীর রোধ বলে।
Q. পরিবাহীর রোধ বলতে কী বোঝ ? SI-তে রোধের একক কী ? এর মাত্রা লেখ।
⇒ পরিবাহীর রোধ: যে ধর্মের জন্য কোন পরিবাহী তার মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহে বাধা দেয়, তাকে পরিবাহীর রোধ বলে।
◼ SI-তে রোধের একক হল ওহম (Ω)।
◼ রোধের মাত্রা হল `[ML^2T^-3I^-2]`
Q. ওহমের সূত্র থেকে রোধের সংজ্ঞা দাও।
⇒ কোন পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভবপ্রভেদ `V` এবং পরিবাহীর মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহমাত্রা `I` হলে, ওহমের সূত্রানুযায়ী----
`V = RI` [যেখানে R = পরিবাহীর রোধ]
বা, `R` = `frac{V}{I}`
অথাৎ, কোন পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভবপ্রভেদ (V) এবং তার মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহমাত্রার (I) অনুপাতকে পরিবাহীর রোধ বলে।
Q. কোনো পরিবাহীর রোধ 1 ওহম বলতে কী বোঝ ? পরিবাহীর রোধের মাত্রা লেখ।
⇒ কোনো পরিবাহীর দুপ্রান্তে `1 V` বিভবপ্রভেদ প্রয়োগ করলে যদি তার মধ্য দিয়ে `1 A` তড়িৎ প্রবাহিত হয়, তবে ঐ পরিবাহীর রোধকে 1 ওহম বলে।
◼ রোধের মাত্রা = `[ML^2T^-3I^-2]`
Q. ওহমীয় পরিবাহী এবং অওহমীয় পরিবাহী কি ? উদাহরণ দাও।
⇒ ওহমীয় পরিবাহী: যে সমস্ত পরিবাহী ওহমের সূত্র মেনে চলে অর্থাৎ যাদের ক্ষেত্রে I-V লেখচিত্রটি মূলবিন্দুগামী সরলরেখার হয়, তাদের ওহমীয় পরিবাহী বলা হয়।
উদাহরণ: সমস্ত ধাতব পরিবাহী।
✪ অওহমীয় পরিবাহী: যে সমস্ত পরিবাহী ওহমের সূত্র মেনে চলে না অর্থাৎ যাদের ক্ষেত্রে I-V লেখচিত্রটি মূলবিন্দুগামী সরলরেখার হয় না, তাদের অওহমীয় পরিবাহী বলা হয়।
✪ উদাহরণ: অর্ধপরিবাহী (জার্মেনিয়াম , সিলিকন), ডায়োড, ট্রানজিস্টার ইত্যাদি।
Q. ওহমীয় পরিবাহীর ক্ষেত্রে I - V লেখচিত্র অঙ্কন করো।
⇒ ওহমীয় পরিবাহীর ক্ষেত্রে `I - V` লেখচিত্রটি মূলবিন্দুগামী সরলরেখা হয়।
Q. কোশের অভ্যন্তরীন রোধ কাকে বলে ? কোশের অভ্যন্তরীণ রোধ কোন্ কোন্ বিষয়ের উপর নির্ভর করে ?
⇒ কোশের অভ্যন্তরীণ রোধ: কোন তড়িৎকোশের অভ্যন্তরে তড়িৎকোশের উপাদানগুলি তড়িৎপ্রবাহের বিরুদ্ধে যে বাধা দেয় তাকে ওই তড়িৎকোশের অভ্যন্তরীণ রোধ বলে।
◼ কোশের অভ্যন্তরীণ রোধ নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর উপর নির্ভর করে ----
(1) তড়িৎদ্বার গুলির মধ্যবর্তী দূরত্ব: তড়িৎদ্বার গুলির মধ্যবর্তী দূরত্ব বৃদ্ধি পেলে কোশের অভ্যন্তরীণ রোধ বৃদ্ধি পায়।
(2) তড়িৎদ্বার গুলির ক্ষেত্রফলের উপর: তড়িৎদ্বার গুলির ক্ষেত্রফল বৃদ্ধি পেলে কোশের অভ্যন্তরীণ রোধ হ্রাস পায়।
(3) সক্রিয় ত্বরণের প্রকৃতির ওপর: সক্রিয় তরলের পরিবাহিতা বৃদ্ধি পেলে কোশের অভ্যন্তরীণ রোধ হ্রাস পায়।
(4) সক্রিয় তরলের উষ্ণতার উপর: সক্রিয় তরলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে অভ্যন্তরীণ রোধ হ্রাস পায়।
Q. কোশের তড়িচ্চালক বল ও অভ্যন্তরীণ রোধ এর মধ্যে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করো।
⇒
ধরা যাক, `E` তড়িৎচালক বল এবং `r` অভ্যন্তরীণ রোধ বিশিষ্ট একটি তড়িৎ কোশকে `R` রোধ বিশিষ্ট রোধকের সঙ্গে যুক্ত করে বর্তনী গঠন করা হলো।
এক্ষেত্রে বর্তনীর তুল্যরোধ = (R + r)
ஃ বর্তনীতে প্রবাহমাত্রা (I) = (কোশের তড়িচ্চালক বল)/ (বর্তনীর মোট রোধ)
বা, `I = E / (R + r)`
বা, `E = IR + Ir`
বা, `E = V + Ir`
যেখানে, `V = IR` = কোশের প্রান্তীয় বিভব প্রভেদ।
Q. কোশের তড়িচ্চালক বল এবং নষ্ট ভোল্ট কাকে বলে ?
⇒ কোশের তড়িচ্চালক বল: এক একক ধনাত্মক তড়িৎ আধানকে কোন তড়িৎকোশের সঙ্গে যুক্ত তড়িৎ বর্তনীর সম্পূর্ণ বদ্ধপথ একবার ঘুরিয়ে আনতে কোন বহিঃস্থ এজেন্টকে যে পরিমান কার্য করতে হয়, তাকে ওই কোশের তড়িচ্চালক বল বলে।
অথবা, মুক্ত বর্তনীতে কোনো তড়িৎকোশের অভ্যন্তরে ঋণাত্মক মেরু থেকে ধনাত্মক মেরুতে একক ধনাত্মক আধান কে নিয়ে যেতে যে পরিমান কার্য করতে হয়, তাকে কোশের তড়িৎচালক বল বলে।
◼ নষ্ট ভোল্ট: সংযুক্ত বর্তনীতে কোনো তড়িৎকোশের অভ্যন্তরে ঋণাত্মক মেরু থেকে ধনাত্মক মেরুতে একক ধনাত্মক আধান কে নিয়ে যেতে যে পরিমান কার্য করতে হয়, তাকে ঐ তড়িৎকোশের নষ্ট ভোল্ট বলে।
অথবা, তড়িৎকোশের অভ্যন্তরে অভ্যন্তরীণ রোধের জন্য কোশের ভেতরে যে পরিমাণ বিভব নষ্ট হয়, তাকে তড়িৎকোশের অভ্যন্তরীণ বিভব পতন বা নষ্ট ভোল্ট বলে।
Q. পরিবাহীর রোধ কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে ?
⇒ পরিবাহীর রোধ নিম্নলিখিত বিষয়গুলির ওপর নির্ভর করে ------
(i) দৈর্ঘ্য: উষ্ণতা, উপাদান ও প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল (`A`) অপরিবর্তিত থাকলে কোন পরিবাহীর রোধ তার দৈর্ঘ্যের (`l`) সমানুপাতিক হয়।
অর্থাৎ `R ∝ l` যখন অন্যান্য বিষয় স্থির থাকে।
(ii) প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল: উষ্ণতা, উপাদান ও দৈর্ঘ্য (`l`) অপরিবর্তিত থাকলে কোন পরিবাহীর রোধ তার প্রস্থচ্ছেদের (`A`) ব্যস্তানুপাতিক হয়।
অর্থাৎ `R ∝ frac{1}{A}` যখন অন্যান্য বিষয় স্থির থাকে।
(iii) উপাদান: উষ্ণতা, দৈর্ঘ্য (`l`) ও প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল (`A`) অপরিবর্তিত থাকলেও বিভিন্ন উপাদানের পরিবাহীর রোধ বিভিন্ন হয়।
WBBSE class 10 physical science Current electricity notes. |
Q. রোধাঙ্ক কাকে বলে ? রোধাঙ্কের রাশিমালা নির্ণয় করো।
⇒ রোধাঙ্ক: একক দৈর্ঘ্য এবং একক প্রস্থচ্ছেদ বিশিষ্ট কোন পরিবাহীর রোধকে ঐ পরিবাহীর উপাদানের রোধাঙ্ক বা আপেক্ষিক রোধ বলে।
অথবা, কোন পরিবাহীর একক ঘনকের দুই বিপরীত পৃষ্ঠের মধ্যবর্তী অংশের রোধকে ঐ পরিবাহীর উপাদানের রোধাঙ্ক বা আপেক্ষিক রোধ বলে।
◼ মনেকরি, নির্দিষ্ট উষ্ণতায় কোন নির্দিষ্ট উপাদানে তৈরি পরিবাহীর দৈর্ঘ্য `l` প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল `A` এবং পরিবাহীর রোধ R।
ஃ `R ∝ l` যখন `A` স্থির থাকে এবং
`R ∝ frac{1}{A}` যখন `l` স্থির থাকে।
ஃ `R ∝ frac{l}{A}` যখন `l` ও `A` উভয় পরিবর্তনশীল
বা, `R = ρ frac{l}{A}`
যেখানে `ρ` একটি ধ্রুবক। এই ধ্রুবক `ρ` -কে পরিবাহীর রোধাঙ্ক বলে।
Q. রোধাঙ্কের মান কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে ?
⇒ রোধাঙ্কের মান (1) পরিবাহীর উপাদান এবং (2) উষ্ণতার উপর নির্ভর করে।
Q. রোধাঙ্কের একক ও মাত্রা লেখ। `20`°C উষ্ণতায় তামার রোধাঙ্ক `1.76 times 10^-8 ohm.m` বলতে কী বোঝায় ?
⇒ রোধাঙ্কের CGS একক `ohm. cm` এবং SI একক `ohm. m`।
রোধাঙ্কের মাত্রা = `[ML^3T^-3I^-2]`
◼ '' `20`°C উষ্ণতায় তামার রোধাঙ্ক `1.76 times 10^-8 ohm.m` '' বলতে বোঝায় `20`°C উষ্ণতায় `1 m` দীর্ঘ এবং `1 m^2` প্রস্থচ্ছেদ বিশিষ্ট তামার ঘনকের দুই বিপরীত পৃষ্ঠের মধ্যবর্তী অংশের রোধ `1.76 times 10^-8 ohm`।
Q. পরিবাহিতা ও পরিবাহিতাঙ্ক কাকে বলে ? পরিবাহিতাঙ্কের একক কি ?
⇒ পরিবাহিতা: কোন পরিবাহীর রোধের অনোন্যক রাশিকে ওই পরিবাহীর পরিবাহিতা বলে।
অথাৎ, কোনো পরিবাহীর রোধ R হলে, পরিবাহিতা, `K = frac{1}{R}`
পরিবাহিতাঙ্ক: কোন পরিবাহীর রোধাঙ্কের অনোন্যক রাশিকে ওই পরিবাহীর পরিবাহিতাঙ্ক বা আপেক্ষিক পরিবাহিতা বলে।
অথাৎ, কোনো পরিবাহীর রোধাঙ্ক `ρ` হলে, পরিবাহিতাঙ্ক, 𝝈 = `frac{1}{ρ}`
◼ পরিবাহিতাঙ্কের CGS একক `mho`. `cm^-1` `(℧. cm^-1 )` এবং SI একক `mho`. `m^-1` `(℧. m^-1)` বা `simens. m^-1` `(S. m^-1)`।
Q. অতিপরিবাহী কী ? একটি উদাহরণ দাও।
⇒ অতিপরিবাহীঃ কতকগুলি ধাতু আছে যাদের উষ্ণতা একটি নির্দিষ্ট মানের (সংকট উষ্ণতা) নীচে পৌঁছলে তাদের রোধ হঠাৎ শূন্য হয়ে যায়। রোধশূন্য অবস্থায় ওই ধাতুগুলিকে অতিপরিবাহী বলে।
◼ 4.2 K উষ্ণতার নীচে পারদ অতিপরিবাহী হিসাবে কাজ করে।
Q. রোধের সমবায় কাকে বলে ? এটি কয় প্রকার ও কী কী ?
⇒ কোনো তড়িৎ বর্তনীতে একাধিক রোধকে একসঙ্গে ব্যবহার করলে সেই রোধগুলিকে একত্রে রোধের সমবায় বলে।
◼ রোধের সমবায় প্রধানত দুই প্রকার (1) শ্রেণী সমবায় ও (2) সমান্তরাল সমবায়।
Q. সমবায়ের তুল্যরোধ বলতে কী বোঝো ?
⇒ সমবায়ের তুল্যরোধ: কোন তড়িৎ বর্তনীতে যুক্ত কোন রোধ সমবায়ের পরিবর্তে যদি একটি মাত্র রোধ ব্যবহার করা যায় যাতে বর্তনীর মোট তড়িৎ প্রবাহ মাত্রা এবং বিভব-প্রভেদ অপরিবর্তিত থাকে তবে ওই একটি রোধকে ওই রোধ সমবায়ের তুল্যরোধ বলে।
Q. রোধের শ্রেণী সমবায় কাকে বলে ? রোধের শ্রেণী সমবায়ের ক্ষেত্রে তুল্যরোধের রাশিমালা নির্ণয় করো। রোধের শ্রেণী সমবায়ের বৈশিষ্ট্য গুলি লেখ।
⇒ রোধের শ্রেণী সমবায়: কতগুলি রোধ যদি এমন ভাবে যুক্ত থাকে যে একটি রোধের শেষ প্রান্ত পরবর্তী রোধের প্রথম প্রান্তের সঙ্গে যুক্ত হয় এবং প্রতিটি রোধের মধ্যে দিয়ে প্রবাহমাত্রা সমান হয় তবে রোধের ওই সমবায়কে রোধের শ্রেণী সমবায়ে বলে।
◼ রোধের শ্রেণী সমবায়ের তুল্যরোধের রাশিমালা নির্ণয়:
ஃ ওহমের সূত্রানুযায়ী -----
`V_A` - `V_B` = `R_1 I`
`V_B` - `V_C` = `R_2 I`
`V_C` - `V_D` = `R_3 I`
সমীকরণগুলিকে যোগ করে পাই,
`V_A` - `V_D` = `(R_1 + R_2 + R_3) I` -------(1)
এখন সমবায়ের তুল্যরোধ `R` হলে এবং তার মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহমাত্রা `I` হলে,
`V_A` - `V_D` = `R I` -----------(2)
(1) ও (2) সমীকরণ তুলনা করে পাই,
`R = R_1 + R_2 + R_3`
অর্থাৎ, রোধের শ্রেণী সমবায় তুল্যরোধ = সমবায়ের রোধগুলির সমষ্টি।
◼ রোধের শ্রেণী সমবায়ের বৈশিষ্ট্য:
(i) প্রতিটি রোধের মধ্যে দিয়ে তড়িৎপ্রবাহ মাত্রা সমান।
(ii) সমবায়ের তুল্যরোধ = সমস্ত রোধকের রোধের সমষ্টি।
(iii) তুল্যরোধ সমবায়ের বৃহত্তম রোধর চেয়েও বড় হয়।
(iv) সমবায়ের প্রান্তীয় বিভবপ্রভেদ = রোধগুলির প্রান্তীয় বিভবপ্রভেদের সমষ্টি।
(v) সমমানের (ধরাযাক প্রতিটির মান `r` ) `n` সংখ্যক রোধ শ্রেণী সমবায় থাকলে, তুল্যরোধ
`R = r + r + ------- = nr`
(vi) যেহেতু বর্তনীতে প্রবাহমাত্রা ধ্রুবক, তাই যে-কোন রোধের প্রান্তীয় বিভবপ্রভেদ ওই রোধের সমানুপাতিক।
Q. রোধের সমান্তরাল সমবায় কাকে বলে ? রোধের সমান্তরাল সমবায়ের ক্ষেত্রে তুল্যরোধের রাশিমালা নির্ণয় করো। রোধের সমান্তরাল সমবায়ের বৈশিষ্ট্য গুলি লেখ।
⇒ রোধের সমান্তরাল সমবায়: কতক গুলি রোধের এক প্রান্ত একটি বিন্দুতে এবং অপরপ্রান্ত অন্য একটি বিন্দুতে যুক্ত থাকলে এবং প্রতিরোধের দুই প্রান্তের বিভব-প্রভেদ একই হলে সেই রোধের সমবায়কে রোধের সমান্তরাল সমবায় বলে।
◼ রোধের সমান্তরাল সমবায়ের তুল্যরোধের রাশিমালা নির্ণয়:
মনেকরি, কোন তড়িৎ বর্তনীতে A ও B বিন্দুর মধ্যে তিনটি রোধ `R_1`, `R_2` ও `R_3` সমান্তরাল সমবায় যুক্ত আছে। যেহেতু বর্তনীর প্রবাহমাত্রা `I` তিনটি রোধের মধ্যে বিভক্ত হয়, তাই
`I = I_1 + I_2 + I_3` ------------- (1)
এখন A ও B বিন্দুর মধ্যে বিভবপ্রভেদ = `V` হলে, ওহমের সূত্রানুযায়ী ----
`I_1 = frac{V}{R_1}` , `I_2 = frac{V}{R_2}` ও `I_3 = frac{V}{R_3}`
ஃ (1) নং সমীকরণ থেকে পাই ----
`I = frac{V}{R_1} + frac{V}{R_2} + frac{V}{R_3}`
বা, `I = V ( frac{1}{R_1} + frac{1}{R_2} + frac{1}{R_3})` --------(2)
এখন সমবায়ের তুল্যরোধ `R` হলে এবং তার মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহমাত্রা `I` হলে,
`I = V times\frac{1}{R}` -----------(2)
(1) ও (2) সমীকরণ তুলনা করে পাই ------
`frac{1}{R} = frac{1}{R_1} + frac{1}{R_2} + frac{1}{R_3}`
অর্থাৎ, রোধের সমান্তরাল সমবায় তুল্যরোধের অন্যোন্যক = রোধগুলির অন্যোন্যকের সমষ্টি।
◼ রোধের সমান্তরাল সমবায়ের বৈশিষ্ট্য:
(i) প্রতিটি রোধের প্রান্তীয় বিভবপ্রভেদ সমান।
(ii) সমবায় তুল্যরোধের অন্যোন্যক = রোধগুলির অন্যোন্যকের সমষ্টি।
(iii) তুল্য রোধ সমবায়ের ক্ষুদ্রতম রোধর চেয়েও ছোট হয়।
(iv) বর্তনীর মধ্যে দিয়ে মোট তড়িৎপ্রবাহমাত্রা = প্রতিটি রোধের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত তড়িৎপ্রবাহমাত্রার সমষ্টি।
(v) সমমানের (ধরাযাক প্রতিটির মান `r` ) `n` সংখ্যক রোধ সমান্তরাল সমবায় থাকলে, তুল্যরোধ
`frac{1}{R} = frac{1}{r} + frac{1}{r} + ------- = frac{n}{r}`
অর্থাৎ, তুল্যরোধ `R = frac{r}{n}`
(vi) যেহেতু প্রান্তীয় বিভবপ্রভেদ ধ্রুবক তাই যেকোনো রোধের মধ্যে দিয়ে প্রবাহমাত্রা হল ওই রোধের ব্যস্তানুপাতিক।
(vii) সমবায়ের অন্তর্গত রোধগুলির পারস্পরিক স্থান বিনিময় করলে এদের প্রান্তীয় বিভবপ্রভেদ ও তুল্যরোধ অপরিবর্তিত থাকে।
Q . প্রমাণ করো, শ্রেণী সমবায় তুল্যরোধ, সমবায়ের প্রতিটি রোধের মানের চেয়ে বড়ো।
অথবা, শ্রেণী সমবায় তুল্যরোধ, সমবায়ের বৃহত্তম রোধ অপেক্ষা বৃহত্তর।
⇒ মনেকরি, তিনটি রোধ `R_1`, `R_2` ও `R_3` শ্রেণী সমবায় যুক্ত এবং বৃহত্তম রোধ `R_1`।
সমবায়ের তুল্য রোধ `R_s = R_1 + R_2 + R_3`
বা, `R - R_1 = R_2 + R_3` = `+ ve`
ஃ `R - R_1` > 0 বা, ` R` > `R_1`
অথাৎ, শ্রেণী সমবায় তুল্যরোধ, সমবায়ের বৃহত্তম রোধ অপেক্ষা বৃহত্তর।
Q. সমান্তরাল সমবায়ের তুল্যরোধ সমবায়ের ক্ষুদ্রতম রোধ অপেক্ষা ক্ষুদ্রতর।
⇒ মনেকরি, তিনটি রোধ `R_1`, `R_2` ও `R_3` সমান্তরাল সমবায় যুক্ত এবং ক্ষুদ্রতম রোধ `R_1`।
সমবায়ের তুল্য রোধ `R_p` হলে,
`frac{1}{R_p} = frac{1}{R_1} + frac{1}{R_2} + frac{1}{R_3}`
বা, `frac{1}{R_p} - frac{1}{R_1} = frac{1}{R_2} + frac{1}{R_3}`
বা, `frac{1}{R_p} - frac{1}{R_1} = +ve`
বা, `frac{1}{R_p} - frac{1}{R_1}` > 0
বা, `frac{1}{R_p}` > `frac{1}{R_1}`
বা, `R_p` < `R_1`
অথাৎ, সমান্তরাল সমবায়ের তুল্যরোধ সমবায়ের ক্ষুদ্রতম রোধ অপেক্ষা ক্ষুদ্রতর।
Q. `R` মানের `n` সংখ্যক রোধের শ্রেণী ও সমান্তরাল সমবায়ের তুল্যরোধ যথাক্রমে `R_s` ও `R_p` হলে , `\frac{R_s}{R_p}`- এর মান কত?
⇒ যদি `R` মানের `n` সংখ্যক রোধ শ্রেণী সমবায়ে যুক্ত থাকে তাহলে তুল্যরোধ,
`R_s` = `R + R + ------- n` সংখ্যক = `nR`
আবার, রোধগুলি যদি সমান্তরাল সমবায়ে যুক্ত থাকে এবং তুল্যরোধ হয় `R_p`, তাহলে
`frac{1}{R_p} = frac{1}{R} + frac{1}{R} + -------n` সংখ্যক = `frac{n}{R}`
বা, `R_p = \frac{R}n`
ஃ`\frac{R_s}{R_p} = \frac{nR}{\frac Rn} = n^2`
Q. গৃহবর্তনীতে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিকে সমন্তরাল সমবায় যুক্ত করা হয় কেন ?
⇒ গৃহবর্তনীতে ব্যবহৃত যন্ত্রগুলিকে সমন্তরাল সমবায় যুক্ত করার কারণ হলো ---
(1) প্রতিটি বৈদ্যুতিক যন্ত্রের প্রান্তীয় বিভবপ্রভেদ সমান হয়। তাই যন্ত্রগুলির দক্ষতা ভালো থাকে।
(2) কোন একটি যন্ত্রের সুইচ অফ্ করলে বা কাজ না করলে তার প্রভাব অন্য যন্ত্রের ওপর পড়ে না।
(3) সমগ্র গৃহবর্তনীর তুল্য রোধ কম হয়।
Q. কৃতকার্যের ধারণা থেকে `H = (I^2Rt)/J` সমীকরণটি প্রতিষ্ঠা করাে।
Q. তড়িৎ প্রবাহের তাপীয় ফল সংক্রান্ত জুলের সূত্রগুলি লেখ।
⇒ তড়িৎ প্রবাহের তাপীয় ফল সংক্রান্ত জুলের সূত্রগুলি হল ---
(1) প্রথম সূত্র: কোন পরিবাহীর রোধ `(R)` ও তড়িৎপ্রবাহের সময় `(t)` অপরিবর্তিত থাকলে পরিবাহীতে উৎপন্ন তাপ `(H)` তড়িৎ প্রবাৎমাত্রার `(I)` বর্গের সমানুপাতিক হয়।
অথাৎ, `H` ∝ `I^2` [যখন `R` ও `t` ধ্রুবক]
(2) দ্বিতীয় সূত্র: কোন পরিবাহীর তড়িৎপ্রবাহমাত্রা `(I)` ও তড়িৎপ্রবাহের সময় `(t)` অপরিবর্তিত থাকলে পরিবাহীতে উৎপন্ন তাপ `(H)` পরিবাহীর রোধের `(R)` সমানুপাতিক হয়।
অথাৎ, `H` ∝ `R` [যখন `I` ও `t` ধ্রুবক]
(3) তৃতীয় সূত্র: কোন পরিবাহীর রোধ `(R)` এবং তড়িৎপ্রবাহমাত্রা `(I)` অপরিবর্তিত থাকলে পরিবাহীতে উৎপন্ন তাপ `(H)` তড়িৎপ্রবাহের সময়ের `(t)` সমানুপাতিক হয়।
অথাৎ, `H` ∝ `t` [যখন `R` ও `I` ধ্রুবক]
সূত্র তিনটিকে একত্রে লিখে পাই,
`H` ∝ `I^2 R t`
বা,`H` = `\frac{I^2Rt}J`
[এখানে `J` = তাপের যান্ত্রিক তুল্যাঙক এবং `J` = 4.2 J/cal]
Q. একটি হিটারের কার্যনীতি সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করো।
Ans.≫ হিটারের কার্যনীতিঃ বৈদ্যুতিক হিটারে একটি নাইক্রোম তারের কুণ্ডলী কোনো তাপসহ পদার্থ যেমন পোর্সেলিন বা ফায়ার ক্লে-র চাকতির খাঁজের মধ্যে বসানো থাকে। নাইক্রোম তারের রোধ খুব বেশি হওয়ায়, ওই তারের কুন্ডলীর মধ্যে দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ পাঠানো হলে সেটি খুব উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং তাপ বিকিরণ করতে থাকে। ফলে হিটারের উপর বসানো বস্তু উত্তপ্ত হয়।
Q. বৈদ্যুতিক হিটারে নাইক্রোম তারের কুণ্ডলী ব্যবহার করা হয় কেন ?
⇒ বৈদ্যুতিক হিটারে নাইক্রোম তারের কুণ্ডলী ব্যবহার করা হয় কারণ ---
(1) নাইক্রোম তারের রোধাঙ্ক খুব বেশি তাই রোধ বেশি। ফলে জুলের সূত্র অনুযায়ী উৎপন্ন তাপ বেশি হয়।
(2) নাইক্রোম তারের গলনাঙ্ক বেশি তাই এটি সহজে গলে যায় না।
(3) এটি উপ্তত্ত অবস্থায় বাতাসের অক্সিজেন দ্বারা জারিত হয় না।
Q. ইলেকট্রিক ইস্ত্রির কার্যনীতি সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করো।
Ans.≫ ইলেকট্রিক ইস্ত্রির কার্যনীতিঃ ইলেকট্রিক ইস্ত্রিতে একটি লম্বা নাইক্রোম তার ত্রিভুজাকৃতি অভ্রের প্লেটে কুন্ডলীর আকারে জরানো থাকে। ওই কুন্ডলীকে দুদিক থেকে দুটি অভ্রের চাদর দিয়ে ঢেকে অন্তরিত করা হয় এবং লোহা বা ইস্পাতের আবরণীর মধ্যে রাখা হয়। নাইক্রোম তারের রোধ খুব বেশি হওয়ায় ওর মধ্যে দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ বলে সেটি উত্তপ্ত হয় এবং আবরণের তলদেশ খুব উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তখন এর সাহায্যে জামাকাপড় ইস্ত্রি করা হয়।
Q. ফিউজ তার কি ? এর কার্যনীতি ব্যাখ্যা করো।
⇒ ফিউজ তার: সিসা ও টিনের সংকর ধাতু নির্মিত যে সরু তার চিনামাটির হোল্ডারের মাধ্যমে কোন তড়িৎ বর্তনীতে লাইভ তারের সঙ্গে শ্রেণী সমবায় যুক্ত থাকে তাকে ফিউজ তার বলে।
◼ কার্যনীতি: ফিউজ তারের রোধাঙ্ক খুব বেশি গলনাংক খুব কম হয়। প্রতিটি ফিউজ তার একটি নির্দিষ্ট সর্বোচ্চ মানের তড়িৎপ্রবাহ সহ্য করতে পারে। প্রবাহমাত্রা ওই নির্দিষ্ট সীমার বেশি হলেই ফিউজ তারে উৎপন্ন তাপের দ্বারা সেটি গলে গিয়ে তড়িৎ বর্তনীর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ফলে আগুন ধরে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে না এবং লাইনের সঙ্গে যুক্ত বৈদ্যুতিক যন্ত্রগুলি ও ক্ষতিগ্রস্ত হয় না।
Q. 5 A ফিউজ বলতে কী বোঝায় ?
⇒ 5 A ফিউজ বলতে বোঝায় যে, ফিউজটি সর্বোচ্চ 5 A তড়িৎ প্রবাহমাত্রা সহ্য করতে পারে। প্রবাহমাত্রা 5 A-এর চেয়ে বেশি হলে এটি গলে যায় এবং তার সঙ্গে যুক্ত তড়িৎ বর্তনীতে তড়িৎপ্রবাহ বন্ধ হয়।
Q. শর্ট সার্কিট কী ?
⇒ শর্ট সার্কিট: কোন কারণে কো নো তড়িৎ বর্তনীর বিপরীতধর্মী বৈদ্যুতিক লাইন দুটির মধ্যে সরাসরি সংযোগ ঘটলে বৈদ্যুতিক লাইনের রোধ প্রায় শূন্য হয়। ফলে লাইনে তড়িৎ প্রবাহের মাত্রা খুব বেড়ে যায় এবং প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয়। ফলে লাইনে আগুন ধরে যেতে দেখা যায়। এই ঘটনাকে শর্ট সার্কিট বলে।
Q. তড়িৎ ক্ষমতা কাকে বলে ? দেখাও তড়িৎ ক্ষমতা `P = \frac{V^2}R`। তড়িৎ ক্ষমতার SI একক কি ?
⇒ তড়িৎ ক্ষমতা: সময়ের সাপেক্ষে কোন বৈদ্যুতিক যন্ত্রের বৈদ্যুতিক কার্য করার হারকে বা বৈদ্যুতিক শক্তি ব্যয়ের হারকে ওই বৈদ্যুতিক যন্ত্রের তড়িৎ ক্ষমতা বলে।
অর্থাৎ তড়িৎ ক্ষমতা `(P)` = (বৈদ্যুতিক কার্য/ সময়) = `\frac{W}t`।
◼ মনেকরি একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্র `V` বিভবপ্রভেদের মধ্যে দিয়ে `t` সময়ে `Q` পরিমাণ তড়িৎ আধান পাঠাল।
বৈদ্যুতিক কার্য `(W) = V Q`
তড়িৎ ক্ষমতা `(P) = \frac{W}t` = `\frac{VQ}t` = `\frac{VIt}t` = `V I`
আবার, পরিবাহীর রোধ `R` হলে ওহমের সূত্রানুযায়ী `V = IR`
`P = VI = IR.R = I^2R = \frac{V^2}{R^2}\timesR = \frac{V^2}{R}`
◼ তড়িৎ ক্ষমতার SI একক হল ওয়াট (watt)।
Q. তড়িৎ শক্তি কাকে বলে ? SI পদ্ধতিতে তড়িৎ শক্তির একক কি? তড়িৎ শক্তির ব্যবহারিক একক কী ?
⇒ তড়িৎ শক্তি: কোন তড়িৎ যন্ত্রের কার্য করার সামর্থ্যকে তার তড়িৎ শক্তি বলে।
◼ SI পদ্ধতিতে তড়িৎ শক্তির একক জুল (J)।
◼ তড়িৎ শক্তির ব্যবহারিক একক হল ওয়াট-ঘন্টা (Wh) ও কিলোওয়াট-ঘন্টা (KWh)।
Q. কিলোওয়াট-ঘন্টা বা B.O.T একক কী ?
⇒ কিলোওয়াট-ঘন্টা বা BOT: 1 কিলোওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন কোন বৈদ্যুতিক যন্ত্র 1 ঘন্টা চললে যে পরিমান তড়িৎ শক্তি ব্যয় হয় তাকে 1 কিলোওয়াট ঘন্টা বা BOT একক বলে।
Q. 1 B.O.T = কত জুল ?
⇒ `1 B.O.T = 1 KWh = 1 K \times 1 hour = 1000 W \times 3600 s = 3.6 \times 10^6 J`
Q. বৈদ্যুতিক বাল্বের গায়ে 220V-100W লেখার অর্থ কি ?
⇒ বৈদ্যুতিক বাল্বের গায়ে 220V-100W লেখার দ্বারা বোঝায় যে বাল্বটিকে 220 V বিভবপ্রভেদে যোগ করলে সেটি সবচেয়ে উজ্জ্বল ভাবে জ্বলবে এবং সেই অবস্থায় বাল্বটি প্রতি সেকেন্ডে 100 জুল তড়িৎ শক্তি ব্যয় করবে।
Q. ‘240V–60W’ ও ‘240V-100W’ রেটিং-এর দুটি বৈদ্যুতিক বাতিকে (i) শ্রেণি সমবায়ে ও (ii) সমান্তরাল সমবায়ে যুক্ত করা হলে কোন্ বাতিটি অধিকতর উজ্জ্বলভাবে জ্বলবে ? (উভয় বাতির ফিলামেন্টের উপাদান একই)
⇒ 240 V - 60 W বৈদ্যুতিক বাতির রোধ,
`R_1 = (240)^2/60 = 960` 𝛺
এবং 240 V – 100 W বৈদ্যুতিক বাতিটির রোধ,
`R_2 = (240)^2/100 = 576` 𝛺
(i) এখন শ্রেণি সমবায়ে বাতি দুটির মধ্য দিয়ে একই প্রবাহমাত্রা যায় এবং যেহেতু ক্ষমতা, `P = I^2R`। কাজেই 60 W বাতির রোধ বেশি হওয়ায়, 60 W বাতিটির উজ্জ্বলতা বেশি হবে।
(ii) সমান্তরাল সমবায়ে বাতি দুটির প্রান্তীয় বিভবপ্রভেদ সমান হয় এবং যেহেতু ক্ষমতা, `P = V^2/R` কাজেই 100 W বাতির রোধ কম হওয়ায়, 100 W বাতিটির উজ্জ্বলতা বেশি হবে।
Q. LED ও CFL-এর পুরাে নাম কী ?
⇒ LED -এর পুরো নাম Light Emitting Diode.
CFL -এর পুরো নাম Compact Fluorscent Lamp.
Q. ওরস্টেডের পরীক্ষাটি সংক্ষেপে বিবৃত করাে। এটি কী প্রমাণ করে ?
⇒ ওরস্টেডের পরীক্ষাঃ
(1) একটি সোজা স্তম্ভের ওপর একটি চুম্বকশলাকা (NS) ভূমির সমান্তরালভাবে বসানো আছে । চুম্বকশলাকাটি অনুভূমিক তলে নিজের অক্ষের চারিদিকে অবাধে ঘুরতে পারে। এই অবস্থায় চুম্বকশলাকার উত্তরমেরু (N) উত্তরদিকে এবং দক্ষিণমেরু (S) দক্ষিণ দিকে মুখ করে থাকে।
(2) এবার চুম্বকশলাকাটির ওপরে একটি পরিবাহী তার AB-কে শলাকাটির অক্ষের সমান্তরালভাবে রাখা হল।
(3) এখন, পরিবাহী তারের মধ্য দিয়ে A বিন্দু থেকে B বিন্দুর দিকে তড়িৎপ্রবাহ পাঠালে, সঙ্গে সঙ্গে চুম্বকশলাকার উত্তর মেরু (N) বিক্ষিপ্ত হয় এবং পরিবাহী তারের সঙ্গে সমকোণে থাকার চেষ্টা করে। কিন্তু তড়িৎপ্রবাহ পাঠানো বন্ধ করলে, চুম্বক শলাকাটি আবার আগের অবস্থানে ফিরে আসে।
(4) তড়িৎপ্রবাহের অভিমুখ বিপরীত করলে অর্থাৎ B বিন্দু থেকে A বিন্দুর দিকে তড়িৎ প্রবাহিত হলে, চুম্বকশলাকার উত্তর মেরুর বিক্ষেপ আগেকার বিক্ষেপের বিপরীত দিকে হবে।
(5) একই দিকে তড়িৎপ্রবাহের জন্য চুম্বকশলাকাটি পরিবাহী তারের ওপরে থাকলে চুম্বকশলাকার উত্তর মেরুর বিক্ষেপ যে দিকে হয়, নীচে থাকলে তার বিপরীত দিকে বিক্ষেপ হয়।
▰ সিদ্ধান্তঃ এই পরীক্ষা থেকে সিদ্ধান্ত করা যায়, কোনো পরিবাহী তারের মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহিত হলে তারটির চারপাশে চৌম্বক ক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়। কিন্তু পরিবাহীটি নিজে চুম্বকে পরিণত হয় না। কারণ, তারটির ওপর লোহার গুঁড়ো ছড়িয়ে দিলে পরিবাহী তারটি লোহার গুঁড়োকে আকর্ষণ করে না।
Q. অ্যাম্পিয়ারের সন্তরণ নিয়ম ও দক্ষিণ মুষ্টি নিয়ম বিবৃত করো।
⇒ অ্যাম্পিয়ারের সন্তরণ নিয়ম: যদি কোন ব্যক্তি চুম্বক শলাকার দিকে মুখ রেখে পরিবাহী তারের মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহের অভিমুখ সাঁতার কাটে তবে ওই ব্যক্তির বাম হাতের দিকে চুম্বক শলাকার উত্তর মেরুর হবে বিক্ষেপ হবে।
◼ দক্ষিণ মুষ্টি নিয়ম: যদি কোন তড়িৎবাহী তারকে হাতের মুঠোয় এমনভাবে ধরা হয় যাতে বৃদ্ধাঙ্গুল তড়িৎ প্রবাহের অভিমুখ নির্দেশ করে তবে অন্য আঙ্গুলগুলি উৎপন্ন চৌম্বকক্ষেত্রের অভিমুখ নির্দেশ করবে।
Q. ফ্লেমিং-এর বামহস্ত নিয়ম বিবৃত করো। কোন্ যন্ত্রে এই নিয়মটি প্রয়ােগ করা যায়?
⇒ ফ্লেমিং-এর বামহস্ত নিয়ম: বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি তর্জনী ও মধ্যমাকে পরস্পরের সঙ্গে সমকোণে রেখে প্রসারিত করলে যদি তর্জনী চৌম্বক ক্ষেত্রের অভিমুখ ও মধ্যমা তড়িৎ প্রবাহের অভিমুখ নির্দেশ করে তবে বৃদ্ধাঙ্গুলি পরিবাহীর ওপর প্রযুক্ত বলের অভিমুখ অর্থাৎ পরিবাহীর গতির অভিমুখ নির্দেশ করবে।
◼ বৈদ্যুতিক মোটরের ক্ষেত্রে এই নিয়মটি প্রয়োগ করা যায়।
Q. বার্লোর চক্রের কার্যনীতি লেখাে।
⇒
▰ বার্লো চক্রের কার্যনীতি: চৌম্বক ক্ষেত্রে অবস্থিত কোনো পরিবাহীর মধ্যে তড়িৎ প্রবাহ চালনা করলে ওই পরিবাহীর উপর বল প্রযুক্ত হয়। ফলে পরিবাহীটি প্রযুক্ত বলের অভিমুখে গতিশীল হয়। এই নীতি অনুযায়ী চুম্বকক্ষেত্রে বার্লো চক্রের ঘূর্ণন গতির সৃষ্টি হয়।বার্লো চক্রের ঘূর্ণনের অভিমুখ ফ্লেমিং-এর বাম হস্ত নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। বার্লো চক্রে তড়িৎ শক্তি যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
এক্ষেত্রে চৌম্বক ক্ষেত্রের অভিমুখ চুম্বকের উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরুর দিকে। সুইচ অন্ করলে চক্রের মধ্যে দিয়ে গর্তের পারদের দিকে তড়িৎ প্রবাহ প্রবাহিত হয়। চক্রের যে দাঁতটি পারদকে স্পর্শ করে আছে তার ওপর ফ্লেমিং-এর বাম হস্ত নিয়ম অনুযায়ী বামদিক থেকে ডানদিকে বল প্রযুক্ত হয়। ফলে দাঁতটি গতিশীল হয় এবং পারদ থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। কিন্তু গতিজাড্যের জন্য পরের দাঁতটি পারদকে স্পর্শ করে। এইভাবে পরপর দাঁতগুলি পারদকে স্পর্শ করে এবং প্রযুক্ত বলের দিকে গতিশীল হয় এবং চক্রটি ঘুরতে থাকে।
Q. বার্লো চক্রের ঘূর্ণন কোন নিয়ম অনুযায়ী হয় ? বার্লো চক্রের ঘূর্ণনের বৈশিষ্ট লেখ।
⇒ বার্লো চক্রের ঘূর্ণন ফ্লেমিং এর বাম হস্ত নিয়ম অনুযায়ী হয়।
◼ বার্লো চক্রের ঘূর্ণনের বৈশিষ্ট:
(i) প্রবাহমাত্রা বৃদ্ধি পেলে চক্রের ঘূর্ণন বেগ বৃদ্ধি পায়।
(ii) চৌম্বক ক্ষেত্রের প্রাবল্য বাড়ালে চক্রের ঘূর্ণন বেগ বৃদ্ধি পায়।
(iii) চুম্বকটিকে সরিয়ে নিলে বা তড়িৎ প্রবাহ বন্ধ করলে চক্রের ঘূর্ণন বন্ধ হয়ে যায়।
(iv) সমপ্রবাহের (D.C) পরিবর্তে পরিবর্তী প্রবাহ (A.C) পাঠালে চক্রের ঘূর্ণন বন্ধ হয়।
(v) তড়িৎ প্রবাহের অভিমুখ উল্টে দিলে চক্রের ঘূর্ণন পূর্বের বিপরীত দিকে হয়।
(vi) চৌম্বক ক্ষেত্রের অভিমুখ উল্টে দিলে চক্রের ঘূর্ণন পূর্বের বিপরীত দিকে হয়।
(vii) চৌম্বক ক্ষেত্র ও তড়িৎ প্রবাহের অভিমুখ একসঙ্গে উল্টে দিলে চক্রের ঘূর্ণনের অভিমুখ অপরিবর্তিত থাকে ।
Q. বৈদ্যুতিক মোটরের শক্তি বৃদ্ধির উপায় কী?
⇒ বৈদ্যুতিক মোটরের শক্তি বৃদ্ধির উপায়গুলি হল----
(i) আর্মেচারের মধ্যে প্রবাহমাত্রা বাড়িয়ে
(ii)আর্মেচার কুন্ডলীর পাক সংখ্যা বাড়িয়ে
(iii) চুম্বক ক্ষেত্রের শক্তি বাড়িয়ে
Q. তড়িৎ চুম্বকীয় আবেশ সম্পর্কিত ফ্যারাডের সূত্রগুলি লেখ।
⇒ তড়িৎ চুম্বকীয় আবেশ সম্পর্কিত ফ্যারাডের সূত্রগুলি হল--
✪ প্রথম সূত্র: কোন বদ্ধ কুন্ডলীর সঙ্গে জড়িত চৌম্বক প্রবাহের পরিবর্তন ঘটলে কুন্ডলীতে একটি তড়িৎচালক বল আবিষ্ট হয়। যতক্ষণ চৌম্বক প্রবাহের পরিবর্তন ঘটে আবিষ্ট তড়িচ্চালক বল ততক্ষণ স্থায়ী হয়।
✪ দ্বিতীয় সূত্র: কোন বদ্ধ কুন্ডলীতে আবিষ্ট তড়িচ্চালক বলের মান কুন্ডলীর সঙ্গে জড়িত চৌম্বক প্রবাহের পরিবর্তনের হারের সমানুপাতিক।
Q. লেঞ্জের সূত্র বিবৃত করো। লেঞ্জের সূত্রটি কোন সূত্রের একটি ভিন্ন রূপ ?
⇒ লেঞ্জের সূত্র: তড়িৎ চুম্বকীয় আবেশ এর ক্ষেত্রে আবিষ্ট তড়িৎ প্রবাহের অভিমুখ এমন হবে যাতে তা নিজের সৃষ্টির কারণকে বাধা দেয়।
◼ লেঞ্জের সূত্রটি শক্তির সংরক্ষণ সূত্রের একটি ভিন্ন রূপ।
Q. শক্তির সংরক্ষণ নীতির সাহায্যে লেঞ্জের সূত্রটি ব্যাখ্যা করো।
Ans.≫ মনে করি একটি বদ্ধ কুণ্ডলীর কাছে যখন দন্ডচুম্বকের N মেরু আনা হলো, এতে কুণ্ডলীর মধ্যে আবিষ্ট তড়িৎ প্রবাহের অভিমুখ এমন হলো যাতে কুণ্ডলীর সম্মুখ প্রান্তে S মেরু সৃষ্টি হয়। তাহলে দন্ডচুম্বকের N মেরুকে কুণ্ডলীর S মেরু আকর্ষণ করবে। এর ফলে দন্ডচুম্বকটি কুণ্ডলীর দিকে ত্বরণসহ অগ্রসর হবে। অর্থাৎ শক্তির সরবরাহ ছাড়াই দন্ডচুম্বকের গতিশক্তি এবং আবিষ্ট তড়িৎ প্রবাহ উভয়ই ক্রমাগত বাড়তে থাকবে, যা শক্তির সংরক্ষণ সূত্র অনুযায়ী অসম্ভব।
এজন্য কুন্ডলীতে আবিষ্ট প্রবাহের অভিমুখ এমন হবে যাতে কুণ্ডলীর সম্মুখ প্রান্তে N মেরুর সৃষ্টি হয় যা দন্ডচুম্বকটিকে বিকর্ষণ করবে। এই বিকর্ষণ বলের বিরুদ্ধে দন্ডচুম্বকটিকে নিয়ে যেতে যান্ত্রিক কার্য করতে হয়। এই যান্ত্রিক কার্যই তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।অর্থাৎ, তড়িৎ চুম্বকীয় আবেশ এর ক্ষেত্রে আবিষ্ট তড়িৎ প্রবাহের অভিমুখ এমন হবে যাতে তা নিজের সৃষ্টির কারণকে বাধা দেয়। এটিই হলো তড়িৎ চুম্বকীয় আবেশ সংক্রান্ত লেঞ্জের সূত্র।
Q. ভাস্বর ল্যাম্পের তুলনায় CFL ও LED ল্যাম্পের ব্যবহারের সুবিধাগুলি সংক্ষেপে লেখো।
Ans.≫
ভাস্বর ল্যাম্প | CFL | LED |
---|---|---|
1. ভাস্বর ল্যাম্পের গড় আয়ু 1500 h | 1. CFL -এর গড় আয়ু 10000 h | 1. LED -এর গড় আয়ু 50,000 h |
2. ভাস্বর ল্যাম্পে শক্তির অপচয় খুব বেশি | 2. CFL-এ শক্তির অপচয় কম | 2. LED-তে শক্তির অপচয় খুব কম |
3. যেখানে 60 W ক্ষমতার ভাস্বর ল্যাম্প ব্যবহার করতে হবে | 3. সেখানে 15 W ক্ষমতার CFL ব্যবহার করা যায় | 3. সেখানে মাত্র 8 W ক্ষমতার LED ব্যবহার করা যায় |
4. মাসিক ইলেকট্রিক বিলের খরচ অনেক বেশি | 4. মাসিক ইলেকট্রিক বিলের খরচ ভাস্বর ল্যাম্প ব্যবহারের খরচের প্রায় `1/4` অংশ | 4. মাসিক ইলেকট্রিক বিলের খরচ ভাস্বর ল্যাম্প ব্যবহারের খরচের প্রায় `1/8` অংশ |
Q. ভাস্বর বাতি ব্যবহারের চেয়ে CFL বাতি ব্যবহারের দুটি সুবিধা উল্লেখ করাে।
⇒ ভাস্বর বাতি ব্যবহারের চেয়ে CFL বাতি ব্যবহারের দুটি সুবিধা:
i) ভাস্বর বাতির চেয়ে CFL- এর শক্তির অপচয় অনেক কম। ভাস্বর বাতির চেয়ে CFL প্রায় 75% কম শক্তি খরচ করে।
ii) ভাস্বর বাতির চেয়ে CFL- এর গড় আয়ু বেশি। ভাস্বর বাতির গড় আয়ু যেখানে 1500 h সেখানে CFL- এর গড় আয়ু 10,000 h।
Q. সমপ্রবাহ (D.C) এবং পরিবর্তী প্রবাহ (A.C) কাকে বলে ?
⇒ সমপ্রবাহ (Direct Current): যে তড়িৎ প্রবাহের অভিমুখ সময়ের সঙ্গে অপরিবর্তিত থাকে তাকে সমপ্রবাহ (D.C) বলে। যেমন- তড়িৎ কোশ থেকে সমপ্রবাহ পাওয়া যায়।
◼ পরিবর্তী প্রবাহ (A.C): যে তড়িৎ প্রবাহের অভিমুখ নির্দিষ্ট সময় অন্তর পরিবর্তিত হয় তাকে পরিবর্তী প্রবাহ (A.C) বলে। যেমন- A.C ডায়নামো থেকে প্রাপ্ত তড়িৎ প্রবাহ।
Q. D.C. থেকে A.C.-র সুবিধা উল্লেখ করাে।
⇒ AC ব্যবহারের সুবিধা:
(i) AC-র উৎপাদন ব্যয় DC-র উৎপাদন ব্যয় অপেক্ষা কম।
(ii) AC-কে রেক্টিফায়ার-এর সাহায্যে সহজে DC-তে রূপান্তরিত করা যায়।
(iii) ট্রান্সফর্মারের সাহায্যে AC-র ভোল্টেজ কমানো বা বাড়ানো যায়। কিন্তু DC-র ক্ষেত্রে তা করা যায় না।
(iv) অপেক্ষাকৃত কম খরচে AC-কে অনেক দূরবর্তী স্থানে পাঠানো যায়।
(v) ডায়নামোর সাহায্যে DC অপেক্ষা AC উৎপাদন করা অপেক্ষাকৃত সহজ।
(vi) তড়িৎ সরবরাহ করার ক্ষেত্রে AC প্রবাহের শক্তির অপচয় কম হয়।
Q. বৈদ্যুতিক জেনারেটর কাকে বলে ? বৈদ্যুতিক জেনারেটর এর মূলনীতি কি ?
⇒ বৈদ্যুতিক জেনারেটর বা ডায়নামো: যে যন্ত্রের সাহায্যে যান্ত্রিক শক্তিকে তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তর করা যায় তাকে ডায়নামো বা জেনারেটর বলে।
◼ একটি বদ্ধ কুন্ডলীকে চুম্বক ক্ষেত্রের মধ্যে ঘোরানো হলে, কুন্ডলীর সঙ্গে জড়িত চৌম্বক প্রবাহের পরিবর্তন ঘটে। ফল কুন্ডলীতে একটি পরিবর্তী তড়িৎচালক বল আবিষ্ট হয় এবং কুন্ডলীতে একটি পরিবর্তী প্রবাহ চলতে থাকে। এটি হলো ডায়নামোর মূলনীতি কি।
Q. বৈদ্যুতিক জেনারেটরের সাহায্যে উৎপন্ন ভোল্টেজ এবং তড়িৎ প্রবাহের মান বৃদ্ধি করার উপায় কী ?
⇒ জেনারেটরের সাহায্যে উৎপন্ন ভোল্টেজ এবং তড়িৎ প্রবাহের মান বৃদ্ধি করার উপায়:
(i) শক্তিশালী তড়িৎ চুম্বক ব্যবহার করে
(ii) কুন্ডলীর পাক সংখ্যা বাড়িয়ে
(iii) কুন্ডলীর ক্ষেত্রফল বাড়িয়ে
(iv) কুন্ডলীর ঘূর্ণন বেগ বাড়িয়ে
(v) কাঁচা লোহার গায়ে কুন্ডলীটিকে জড়িয়ে।
Q. তাপবিদ্যুৎ ও জলবিদ্যুৎ উৎপাদন সংক্ষেপে লেখো।
Ans.≫ তাপবিদ্যুৎ এবং জলবিদ্যুৎ উৎপাদন উভয়ই ডায়নামোর (মূলত AC ডায়নামো) কার্যনীতি অনুসরণ করে হয়। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা বা প্রাকৃতিক গ্যাস পুড়িয়ে জল ফুটিয়ে স্টিম উৎপন্ন করা হয়। উৎপন্ন স্টিমকে উচ্চচাপে নিয়ে তার গতিশক্তিকে কাজে লাগিয়ে টারবাইন ঘোরানো হয় এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে উঁচু বাঁধে সংরক্ষিত জলকে নীচের দিকে তীব্রবেগে পড়তে দেওয়া হয় এবং জলের গতিশক্তিকে কাজে লাগিয়ে টারবাইন ঘোরানো হয় এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।
Q. বৈদ্যুতিক মোটরের কার্যনীতি সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করো।
Ans.≫
✪ বৈদ্যুতিক মোটরের কার্যনীতিঃ ব্রাশ (`B_1,B_2`) দুটির সঙ্গে কোনো সমপ্রবাহ (D.C.) তড়িৎ উৎস বা কোনো ব্যাটারির দুটি মেরুকে যোগ করলে আর্মেচার কুণ্ডলীর অন্তরিত তামার তারের মধ্যে দিয়ে তড়িৎপ্রবাহিত হয়।
আর্মেচারের দুই বিপরীত বাহু AB এবং CD-তে সর্বদা সমান কিন্তু বিপরীত অভিমুখে তড়িৎ প্রবাহিত হয়। তড়িৎ প্রবাহের ওপর চুম্বকের ক্রিয়ার ফলে ওই দুই বাহুতে সমান মানের দুটি বল প্রযুক্ত হয়।
ফ্লেমিং-এর বাম হস্ত নিয়ম অনুযায়ী এই বল দুটি বিপরীত অভিমুখে ক্রিয়া করে। তাই আর্মেচারটি `L_1L_2` অক্ষের সাপেক্ষে ঘুরতে থাকে।
`B_1` ও `B_2` ব্রাশ দুটি স্থির থাকায় প্রতি অর্ধপাক ঘোরার পর কম্যুটেটরের অর্ধবলয় `R_1` ও `R_2` ব্যাটারির মেরু পরিবর্তন করে। এরফলে আর্মেচার কুণ্ডলীতে সবসময় একই দিকে তড়িৎ প্রবাহ হয় এবং কুণ্ডলীটি সবসময় একই দিকে ঘুরতে থাকে।
Q. ac ডায়ানানাের কার্যনীতি চিত্রসহ সংক্ষেপে লেখো ।
Ans.≫
✪ AC ডায়ানামাের কার্যপ্রণালীঃ যখন আর্মেচার কুণ্ডলী ABCD ঘুরতে থাকে তখন AB এবং CD বাহুতে চৌম্বক ফ্লাক্সের পরিবর্তন ঘটায় তড়িৎচুম্বকীয় আবেশ ঘটে। যখন AB নীচেরদিকে নামে এবং CD বাহু উপরের দিকে ওঠে তখন ফ্লেমিং-এর ডানহস্ত নিয়ম অনুযায়ী কুণ্ডলীতে DCBA অভিমুখে তড়িৎপ্রবাহের সৃষ্টি হয়। ফলে বহিঃবর্তনীতে `B_1` থেকে `B_2` অভিমুখে তড়িৎপ্রবাহ হয়।
ঘূর্ণনের ফলে যখন AB এবং CD বাহু অবস্থান বিনিময় করে তখন আর্মেচার কুণ্ডলীতে বিপরীত অভিমুখে অর্থাৎ, ABCD অভিমুখে তড়িৎপ্রবাহের সৃষ্টি হয়। ফলে `B_2` থেকে `B_1` ব্রাশের অভিমুখে তড়িৎপ্রবাহ চলতে থাকে। অর্থাৎ বহিঃবর্তনীতে তড়িৎপ্রবাহের অভিমুখ পরিবর্তিত হয় এবং পরিবর্তী প্রবাহ উৎপন্ন হয়।
Q. dc ডায়ানামাের কার্যনীতি চিত্রসহ সংক্ষেপে লেখাে।
Ans.≫
✪ DC ডায়ানামাের কার্যপ্রণালীঃ যখন আর্মেচার কুণ্ডলী ABCD ঘুরতে থাকে তখন AB এবং CD বাহুতে চৌম্বক ফ্লাক্সের পরিবর্তন ঘটায় তড়িৎচুম্বকীয় আবেশ ঘটে। যখন AB নীচেরদিকে নামে এবং CD বাহু উপরের দিকে ওঠে তখন ফ্লেমিং-এর ডানহস্ত নিয়ম অনুযায়ী কুণ্ডলীতে DCBA অভিমুখে তড়িৎপ্রবাহের সৃষ্টি হয়। ফলে বহিঃবর্তনীতে কম্যুটেটরের মাধ্যমে `B_1` থেকে `B_2` অভিমুখে তড়িৎ প্রবাহ হয়।
ঘূর্ণনের ফলে যখন AB এবং CD বাহু অবস্থান বিনিময় করে তখন আর্মেচার কুণ্ডলীতে বিপরীত অভিমুখে অর্থাৎ, ABCD অভিমুখে তড়িৎপ্রবাহের সৃষ্টি হয়। সেই সময় অর্ধবলয় দুটির সঙ্গে ব্রাশ দুটির সংযোগও উলটে যায়। ফলে `B_1` থেকে `B_2` ব্রাশের অভিমুখেই তড়িৎপ্রবাহ চলতে থাকে। অর্থাৎ বহিঃবর্তনীতে তড়িৎপ্রবাহের অভিমুখ অপরিবর্তিত থাকে এবং সমপ্রবাহ তড়িৎ উৎপন্ন হয়।
Q. আর্থিং কাকে বলে ? গৃহবর্তনীতে আর্থিং করা হয় কেন ?
⇒ তড়িৎবাহী তার দ্বারা বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির ধাতব আবরণের সঙ্গে সরাসরি মাটির সংযোগ ঘটানোকে আর্থিং বলে।
◼ কোন বৈদ্যুতিক যন্ত্রের ধাতব ও আবরণ কোন কারণে লাইভ তারের সংস্পর্শে এলে সেটি তড়িৎবাহী হয়। ওই অবস্থায় কোন ব্যাক্তি বৈদ্যুতিক যন্ত্রের ধাতব ও আবরণকে স্পর্শ করলে ইলেকট্রিক শক পায়। কিন্তু ওই যন্ত্রের ধাতব আবরণ আর্থ তার দ্বারা মাটির সঙ্গে যুক্ত থাকলে তড়িৎ আর্থ তারের মধ্যে দিয়ে সরাসরি মাটিতে চলে যায়। ফলে ইলেকট্রিক পাওয়ার সম্ভাবনা থাকেনা।
Q. তড়িৎ প্রবাহমাত্রা মাপা হয় কোন যন্ত্রের সাহায্যে ?
⇒ অ্যামমিটার
Q. প্রবাহমাত্রা মাপার জন্য অ্যামমিটার বর্তনীতে কী সমবায়ে যোগ করতে হয় ?
⇒ শ্রেণী সমবায়ে
Q. কেবল্ তারের কালার কোডিং উল্লেখ করাে।
⇒
তারের প্রকার | পুরাতন নিয়ম | আন্তর্জাতিক নিয়ম |
---|---|---|
লাইভ তার (L) | লাল | বাদামি |
নিউট্রাল তার (N) | কালো | হালকা নীল |
আর্থ তার (E) | সবুজ | সবুজ বা হলুদ |
Q. আর্থ পিনটি একটু মোটা করা হয় কেন ?
⇒ ভুল করেও আর্থ পিনটি যেন লাইভ বা নিউট্রাল পিনের ছিদ্রে প্রবেশ করানো না যায় এবং তিনটি পিনই যেন নির্দিষ্ট ছিদ্রে প্রবেশ করে তা নিশ্চিত করার জন্য আর্থ পিনটি একটু মোটা করা হয়।
Q. লাইভ পিন ও নিউট্রাল পিনের তুলনায় আর্থ পিনকে একটু বেশি লম্বা করা হয় কেন ?
⇒ লাইভ তার এবং নিউট্রাল তারের সঙ্গে সংযোগ হওয়ার আগে আর্থ তারের সংযোগ নিশ্চিত করার জন্য আর্থ পিনকে অন্য দুটি পিনের তুলনায় একটু বেশি লম্বা করা হয়।
0 মন্তব্যসমূহ
If you have any doubts.Please let me know.
Please do not enter any spam link in the comment box.
Thanks.