দশম শ্রেণী ভৌত বিজ্ঞান রাসায়নিক গণনা নোট্স
WBBSE Class X Physical Science chapter 3 chemical Calculations Notes
Copyright free image source: https://pixabay.com/দশম শ্রেণীর ভৌত বিজ্ঞান রাসায়নিক গণনা অধ্যায় ভিত্তিতে প্রশ্নোত্তর নিচে দেওয়া হল। এবার পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণীর ভৌত বিজ্ঞান পরীক্ষায় এই topic টি পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট ।WBBSE Class 10 Physical Science chapter 3 chemical Calculations questions and answers.
রাসায়নিক গণনার প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করার পূর্বে নিজের বিষয়গুলি সম্পর্কে ধারণা থাকা প্রয়োজন।
রাসায়নিক গণনা (Chemical Calculations)
✪ রাসায়নিক বিক্রিয়া: যে প্রক্রিয়ায় এক বা একাধিক ভিন্ন ধর্মী পদার্থ পরিবর্তিত হয়ে এক বা একাধিক ভিন্নধর্মী নতুন পদার্থ উৎপন্ন করে তাকে রাসায়নিক বিক্রিয়া বলে।
✪ বিক্রিয়ক পদার্থ: রাসায়নিক বিক্রিয়ায় যেসব পদার্থ অংশগ্রহণ করে তাদের বিক্রিয়ক বা বিকারক বলা হয়।
✪ বিক্রিয়াজাত পদার্থ : যে পদার্থ বা পদার্থ গুলি বিক্রিয়ায় উৎপন্ন হয় তাদের বিক্রিয়াজাত পদার্থ বলে।
✪ রাসায়নিক সমীকরণ: বিক্রিয়ক ও বিক্রিয়াজাত পদার্থের পরমাণু গুলির মধ্যে সমতা বজায় রেখে চিহ্ন ও সংকেত এর সাহায্যে কোন রাসায়নিক বিক্রিয়াকে সংক্ষেপে প্রকাশ করার পদ্ধতিকে বলা হয় রাসায়নিক সমীকরণ।
যেমন : `CaCO_3 = CaO + CO_2`
এক্ষেত্রে বিক্রিয়ক পদার্থ হল `CaCO_3`
এবং বিক্রিয়াজাত পদার্থ হল `CaO` ও `CO_2`
✪ ভরের সংরক্ষণ সূত্র: ভরকে সৃষ্টি বা ধ্বংস করা যায় না। কোনো ভৌত ও রাসায়নিক পরিবর্তন এর আগে ও পরে পরিবর্তনে অংশগ্রহণকারী পদার্থ গুলির মোট ভর অপরিবর্তিত থাকে।
যেমন: `2H_2 + O_2 = 2H_2O`
বিক্রিয়ক পদার্থের মোট ভর = 2 x ( 1 x 2) + (16 x 2)= ( 4 + 32 ) = 36 g
বিক্রিয়াজাত পদার্থের মোট ভর = 2 x( 1 x 2 + 16) = 36 g
**কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে
বিক্রিয়ক পদার্থের মোট ভর = বিক্রিয়াজাত পদার্থের মোট ভর
✪ আইনস্টাইনের সূত্র: `E=m.c^2`
যেখানে E = শক্তি, m = ভর, c = শূন্য মাধ্যমে আলোর বেগ।
✪ ভর ও শক্তির সংরক্ষণ সূত্র:
**কোনো ভৌত বা রাসায়নিক পরিবর্তনের আগে ও পরে ভর ও শক্তির মোট পরিমাণ সর্বদা অপরিবর্তিত থাকে।
**কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ায় শক্তির উদ্ভব ও শোষণ হলেও ভরের পরিমাপ যোগ্য কোনো পরিবর্তন হয় না।
✪ আণবিক ওজন: কোন মৌল বা যৌগের একটি অণু কার্বনের `C^{12}` আইসোটোপ এর একটি পরমাণুর ভরের `\frac1{12}` অংশের তুলনায় কত গুণ ভারী সেই সংখ্যাকে ওই মৌলের আণবিক ভর বলা হয়।
✪ আণবিক ভর = (মৌল বা যৌগের একটি অনুর ভর) / ( `\frac1{12}` x একটি `C^{12}`পরমাণুর ভর)।
✪ গ্যাসের বাষ্প ঘনত্ব : একই চাপ উষ্ণতায় কোনো গ্যাসের ওজন সমআয়তন হাইড্রোজেন গ্যাসের ওজনের তুলনায় কতগুণ ভারী সেই সংখ্যাটিকে ওই গ্যাসের বাষ্প ঘনত্ব বলে।
✪ কোনো গ্যাসের বাষ্প ঘনত্ব = একই চাপ ও উষ্ণতায়
(V আয়তন গ্যাসের ওজন আয়তন) / ( V আয়তন H2 গ্যাসের ওজন)
**আণবিক ওজন এবং বাষ্প ঘনত্বের কোনো একক নেই।
✪ প্রমাণ ঘনত্ব : STP তে 1 লিটার কোনো গ্যাসের গ্রামে প্রকাশিত ভরকে গ্যাসের প্রমাণ ঘনত্ব বলে।
যেমন: হাইড্রোজেনের প্রমাণ ঘনত্ব 0.089 g/L
Q. গ্যাসের প্রমাণ ও বাষ্পঘনত্বের সম্পর্কটি প্রতিষ্ঠা করো।
⇒ গ্যাসের বাষ্পঘনত্ব = [সমচাপ ও উষ্ণতায়]
(নির্দিষ্ট আয়তনের কোনো গ্যাসের ভর)`/`(সম আয়তনের `H_2`গ্যাসের ভর)
= (STP-তে V লিটার গ্যাসের ভর)`/`(STP-তে V লিটার `H_2`গ্যাসের ভর)
= (STP-তে 1 লিটার গ্যাসের ভর)`/`(STP-তে 1 লিটার `H_2`গ্যাসের ভর)
= (গ্যাসের প্রমান ঘনত্ব)`/`(0.089)
[STP-তে 1 লিটার `H_2`গ্যাসের ভর = 0.089]
ஃ গ্যাসের প্রমান ঘনত্ব = গ্যাসের বাষ্পঘনত্ব `times` 0.089
Q. গ্যাসের বাষ্পঘনত্ব ও আণবিক ভরের মধ্যে সম্পর্কটি প্রতিষ্ঠা করো।
⇒ গ্যাসের বাষ্পঘনত্ব = [সমচাপ ও উষ্ণতায়]
(নির্দিষ্ট আয়তনের কোনো গ্যাসের ভর)`/`(সম আয়তনের `H_2`গ্যাসের ভর)
= (গ্যাসের n সংখ্যক অণুর ভর)`/`(n সংখ্যক `H_2` অণুর ভর)
[∵ অ্যাভোগাড্রো সূত্র অনুসারে সম আয়তন সমস্ত গ্যাসে সমান সংখ্যক অণু থাকে]
= (গ্যাসের 1 টি অণুর ভর)`/`(1 টি `H_2` অণুর ভর)
= (গ্যাসের 1 টি অণুর ভর)`/`(2 টি `H_2` পরমাণুর ভর)
= `frac{1}{2}\times` আণবিক ভর [হাইড্রোজেন স্কেলে আণবিক ভরের সংঙ্গা থেকে]
ஃ গ্যাসের আণবিক ভর = `2\times` গ্যাসের বাষ্পঘনত্ব
✪ রাসায়নিক সমীকরণ থেকে ওজন ভিত্তিক গণনার সময় নিচের বিষয়গুলো বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে
১) রাসায়নিক বিক্রিয়ার সমীকরণ সম্পূর্ণ সঠিক ভাবে লিখতে হবে।
২) সমীকরণে রাসায়নিক পদার্থ গুলির নিচে আণবিক ওজন বা পারমাণবিক ওজন উপযুক্ত স্থানে বসাতে হবে।
৩) প্রয়োজন অনুযায়ী প্রদত্ত মানকে মোল (mol) সংখ্যায় নিয়ে যেতে হবে।
৪) রাসায়নিক গণনা একই প্রকারের (cgs বা SI ) একক ব্যবহার করতে হবে।
৫) গ্যাসীয় বিক্রিয়ক বা বিক্রিয়াজাত পদার্থের আয়তন ও ভর নির্ণয়ের জন্য নিম্নলিখিত সম্পর্কগুলি ব্যবহার করতে হবে-------------------
**STP-তে যে কোনো গ্যাসের 1 মোল অণুর আয়তন = 22.4 L
**STP-তে 1 লিটার H2 গ্যাসের ভর = 0.089 g
**STP-তে যে কোনো গ্যাসের এক লিটারের ভর
= গ্যাসটির বাষ্প ঘনত্ব × হাইড্রোজেনের প্রমাণ ঘনত্ব
=গ্যাসটির বাষ্প ঘনত্ব × 0.089 g
**কোনো গ্যাসের আণবিক ভর (M) = 2 × বাষ্প ঘনত্ব (D) ।
** কোনো গ্যাসের প্রমাণ ঘনত্ব (STP-তে 1 L গ্যাসের ভর ) = গ্যাসের বাষ্প ঘনত্ব (D) x 0.089
**গ্যাসীয় পদার্থের আয়তন STP-তে দেওয়া না থাকলে `\frac{P_1V_1}{T_1}`= `\frac{P_2V_2}{T_2}` সমীকরণ অনুযায়ী গ্যাসটির আয়তন STP-তে বের করতে হবে।
Topic | Link |
---|---|
দশম শ্রেণী ভৌত বিজ্ঞান চলতড়িৎ নোটস | Click Here |
মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন চলতড়িৎ | Click Here |
অনুশীলনীর সমাধান-চলতড়িৎ--[ছায়া-প্রকাশণী]-মাধ্যমিক | Click Here |
অনুশীলনীর সমাধান-চলতড়িৎ-[প্রান্তিক-প্রকাশণী]-মাধ্যমিক | Click Here |
অনুশীলনীর সমাধান-চলতড়িৎ-[সাঁতরা-প্রকাশণী]-মাধ্যমিক | Click Here |
তোমাদের কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকলে তা তোমরা কমেন্ট বক্সে জানাতে পারো।
0 মন্তব্যসমূহ
If you have any doubts.Please let me know.
Please do not enter any spam link in the comment box.
Thanks.